আগামী বছর থেকে ই-মেইলে পাঠানো হবে পরীক্ষার ফল
শরিফুজ্জামান | তারিখ: ১৭-০৭-২০১০
ডাকযোগে বা বাহক মারফত দেশজুড়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল আর পাঠানো হবে না। আগামী বছর থেকে এ দুই পরীক্ষার ফল পাঠানো হবে ই-মেইলে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বসেই নির্দিষ্ট সময়ে ই-মেইলে ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটেও সব স্কুল-কলেজের ফল দেওয়া থাকবে। প্রতিটি স্কুল বা কলেজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কোড নম্বর দিয়ে ফল ডাউনলোড করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই পদ্ধতি চালু হলে শিক্ষা বোর্ডকে হাজার হাজার পৃষ্ঠার রেজাল্ট শিট তৈরি করতে হবে না। সারা দেশে ফল পাঠানোর ঝক্কি-ঝামেলাও থাকবে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের বিষয়টি পুরোপুরি তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর করার চেষ্টা চলছে। কয়েক বছর ধরে ওয়েবসাইট ও মুঠোফোনে খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে ফল জানানোর চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ই-মেইলে ফল পাঠানো এবং এসএমএসের মাধ্যমে খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করার সুযোগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে খুদে বার্তার মাধ্যমে ফল প্রকাশের উদ্বোধন করেন। গত এসএসসি পরীক্ষার ফল পাঠিয়েছেন ই-মেইলের মাধ্যমে। এবার তিনি ভিডিও কনফারেন্স করে গোপালগঞ্জ ও সিলেটের দুটি কলেজের ফল জানিয়ে সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সূত্র জানায়, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা গত কয়েক বছরে ফল জানার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছেন। এ ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে কিছু বিড়ম্বনাও হয় তাঁদের। যেমন গত বৃহস্পতিবার ওয়েবসাইটে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দেওয়া হলেও সম্পূর্ণ ফল পেতে আগ্রহীদের অপেক্ষা করতে হয় প্রায় দেড় ঘণ্টা। কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডের পূর্ণাঙ্গ ফল পাওয়া গেছে ওই দিন বেলা আড়াইটার পর। তবে এর মধ্যেও ওয়েবসাইটে হিটের সংখ্যা প্রথম তিন ঘণ্টায় ছিল আট লাখ ৭০ হাজার। একই সময়ে খুদে বার্তার মাধ্যমে ফল জানতে পেরেছেন আট লাখ ৭০ হাজার গ্রাহক।
গত এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর প্রথম চার ঘণ্টায় ফল জানতে আগ্রহীরা খুদে বার্তা পাঠিয়েছিল ১২ লাখ, ওয়েবসাইটে হিট হয়েছিল ২৮ লাখ।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাবলিক পরীক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি, আগামী পরীক্ষায় ঘরে বসেই শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন।’
জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ই-মেইলে ফল পেতে নিজেদের খোলা অথবা বোর্ডের খুলে দেওয়া ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করতে পারবে। গত এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন তিন হাজার ৭৭২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই ই-মেইলে ফল পেয়েছে। অন্যান্য বোর্ডও এই চেষ্টা করেছে। এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের প্রায় ৭০০ কলেজের ফল ই-মেইলে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য বোর্ডও পরীক্ষামূলকভাবে কিছু কলেজের ফল ই-মেইলে পাঠিয়েছে।
এদিকে প্রত্যাশা অনুযায়ী যেসব বিষয়ের নম্বর পাওয়া যায় না, সেগুলো পুনর্মূল্যায়ন করতে চায় পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু এই প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। টেলিটকের সৌজন্যে গত এসএসসি পরীক্ষা থেকে খাতা মূল্যায়নের নতুন নিয়ম শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এইচএসসি পরীক্ষার খাতাও একইভাবে পুনর্মূল্যায়ন করা যাবে। এবার বোর্ড থেকে কোনো খাতা পুনর্মূল্যায়ন ফরম দেওয়া হবে না। কিছু নিয়ম মেনে খুদে বার্তা পাঠালেই নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে পাওয়া যাবে পুনর্মূল্যায়নের ফল এবং তা ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার কেন্দ্রের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট মো. মনজুরুল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ফল জানার জন্য ওয়েবসাইট ও এসএমএসের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। আগামী বছর পরীক্ষার ফল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানোসহ এ-সংক্রান্ত সব কাজে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর কম্পিউটার কেন্দ্র সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে অপটিক্যাল মার্কস রিডার (ওএমআর) ফরম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে। নতুন ফরমে পরীক্ষার্থীর ই-মেইল ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। এর লক্ষ্য হলো, ভবিষ্যতে পরীক্ষার ফল বা এ-সংক্রান্ত তথ্য তার ই-মেইলে পাঠিয়ে দেওয়া। তবে এর আগে দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত হতে হবে।
ডাকযোগে বা বাহক মারফত দেশজুড়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল আর পাঠানো হবে না। আগামী বছর থেকে এ দুই পরীক্ষার ফল পাঠানো হবে ই-মেইলে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বসেই নির্দিষ্ট সময়ে ই-মেইলে ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটেও সব স্কুল-কলেজের ফল দেওয়া থাকবে। প্রতিটি স্কুল বা কলেজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কোড নম্বর দিয়ে ফল ডাউনলোড করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই পদ্ধতি চালু হলে শিক্ষা বোর্ডকে হাজার হাজার পৃষ্ঠার রেজাল্ট শিট তৈরি করতে হবে না। সারা দেশে ফল পাঠানোর ঝক্কি-ঝামেলাও থাকবে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের বিষয়টি পুরোপুরি তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর করার চেষ্টা চলছে। কয়েক বছর ধরে ওয়েবসাইট ও মুঠোফোনে খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে ফল জানানোর চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ই-মেইলে ফল পাঠানো এবং এসএমএসের মাধ্যমে খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করার সুযোগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে খুদে বার্তার মাধ্যমে ফল প্রকাশের উদ্বোধন করেন। গত এসএসসি পরীক্ষার ফল পাঠিয়েছেন ই-মেইলের মাধ্যমে। এবার তিনি ভিডিও কনফারেন্স করে গোপালগঞ্জ ও সিলেটের দুটি কলেজের ফল জানিয়ে সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সূত্র জানায়, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা গত কয়েক বছরে ফল জানার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছেন। এ ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে কিছু বিড়ম্বনাও হয় তাঁদের। যেমন গত বৃহস্পতিবার ওয়েবসাইটে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দেওয়া হলেও সম্পূর্ণ ফল পেতে আগ্রহীদের অপেক্ষা করতে হয় প্রায় দেড় ঘণ্টা। কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডের পূর্ণাঙ্গ ফল পাওয়া গেছে ওই দিন বেলা আড়াইটার পর। তবে এর মধ্যেও ওয়েবসাইটে হিটের সংখ্যা প্রথম তিন ঘণ্টায় ছিল আট লাখ ৭০ হাজার। একই সময়ে খুদে বার্তার মাধ্যমে ফল জানতে পেরেছেন আট লাখ ৭০ হাজার গ্রাহক।
গত এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর প্রথম চার ঘণ্টায় ফল জানতে আগ্রহীরা খুদে বার্তা পাঠিয়েছিল ১২ লাখ, ওয়েবসাইটে হিট হয়েছিল ২৮ লাখ।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাবলিক পরীক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি, আগামী পরীক্ষায় ঘরে বসেই শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন।’
জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ই-মেইলে ফল পেতে নিজেদের খোলা অথবা বোর্ডের খুলে দেওয়া ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করতে পারবে। গত এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন তিন হাজার ৭৭২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই ই-মেইলে ফল পেয়েছে। অন্যান্য বোর্ডও এই চেষ্টা করেছে। এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের প্রায় ৭০০ কলেজের ফল ই-মেইলে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য বোর্ডও পরীক্ষামূলকভাবে কিছু কলেজের ফল ই-মেইলে পাঠিয়েছে।
এদিকে প্রত্যাশা অনুযায়ী যেসব বিষয়ের নম্বর পাওয়া যায় না, সেগুলো পুনর্মূল্যায়ন করতে চায় পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু এই প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। টেলিটকের সৌজন্যে গত এসএসসি পরীক্ষা থেকে খাতা মূল্যায়নের নতুন নিয়ম শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এইচএসসি পরীক্ষার খাতাও একইভাবে পুনর্মূল্যায়ন করা যাবে। এবার বোর্ড থেকে কোনো খাতা পুনর্মূল্যায়ন ফরম দেওয়া হবে না। কিছু নিয়ম মেনে খুদে বার্তা পাঠালেই নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে পাওয়া যাবে পুনর্মূল্যায়নের ফল এবং তা ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার কেন্দ্রের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট মো. মনজুরুল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ফল জানার জন্য ওয়েবসাইট ও এসএমএসের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। আগামী বছর পরীক্ষার ফল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানোসহ এ-সংক্রান্ত সব কাজে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর কম্পিউটার কেন্দ্র সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে অপটিক্যাল মার্কস রিডার (ওএমআর) ফরম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে। নতুন ফরমে পরীক্ষার্থীর ই-মেইল ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। এর লক্ষ্য হলো, ভবিষ্যতে পরীক্ষার ফল বা এ-সংক্রান্ত তথ্য তার ই-মেইলে পাঠিয়ে দেওয়া। তবে এর আগে দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত হতে হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন